কেন দরকার অ্যাবিলিটি গ্রুপিং?
অ্যাবিলিটি গ্রুপিং কেন দরকার?
When used correctly, tracking enables the teacher to cater his lessons toward the specific ability level of the students in his class. In low and normal achievement level students, this can help to ensure that the students learn the material at their own pace without falling behind.
-- Kate Barrington, The Pros and Cons of Tracking in Schools
শিক্ষকতার সাথে জড়িত আছেন এরকম মানুষজন প্রায় একটা কথা বলেন, ‘অ্যাবিলিটি গ্রুপিং’। এই গ্রুপিং এর পেছনে যে কারণ রয়েছে; কিছু কিছু শিক্ষার্থী অনেক দ্রুত শিখতে পারে - সেখানে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বেশি সহযোগিতা না পেলে সেই লেভেলে আসতে পারে না। একই ক্লাসে যখন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাহিদার কথা প্রয়োজনে আসে, সে কারণে অনেক স্কুল এক ধরনের ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করে - যার মাধ্যমে বিষয় ধরে আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের গ্রুপিং করা যায়। শিক্ষার্থীদের ট্র্যাকিং এর ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগে আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখন সেটা আস্তে আস্তে শিথিল হয়ে এসেছে। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন বর্ণ, জাতি, ভাষা অর্থাৎ ইংরেজি ভালো জানে অথবা জানে না এবং আলাদা আলাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের কারণে এধরনের ট্র্যাকিং তাদের মধ্যে বিভেদ না তৈরি করে।
সবাইকে এক জায়গায় আনা
তবে ইউরোপ এবং এশিয়ার অনেকগুলো দেশের স্কুলগুলো নিজেরাই এধরনের ট্র্যাকিং বলবৎ রেখেছে কারণ এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো এ ধরনের সমস্যা প্রকট নয়। এখানে ট্র্যাকিং আসলে একটা ক্লাসের মধ্যে যারা খুব সহজে একটা জিনিস বুঝতে পারে অথবা যাদের একটু সমস্যা হচ্ছে অথবা যারা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে - তাদেরকে সেভাবে কয়েকটা গ্রুপিং করা যেতে পারে যাতে যারা আসলেই ভাল তাদেরকে একটা ভালো লেভেলে নেয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি, যারা মাঝামাঝি এবং সেভাবে ধরতে পারছে না - তাদের জন্য আলাদা দেখভালের প্রয়োজন আছে। থেকে না বললেও শিক্ষকরা এ ধরনের গ্রুপিং নিজে থেকে করে থাকেন। এটা সেরকম নতুন কিছু নয়। সেটা না হলে ভালো শিক্ষার্থীরা অমনোযোগী এবং মাঝারি শিক্ষার্থীরা না বুঝেই পাড়ি দেবে ক্লাস।
তবে, একটা জিনিস বোঝা গেছে এ ধরনের ‘অ্যাবিলিটি ট্র্যাকিং’ এক বছরের বেশি থাকেনা কারণ একেকটা ক্লাসে শিক্ষকদের সুবিধার জন্য এ ধরনের কয়েকটি গ্রুপিং করা যেতে পারে। এটার ব্যাপারে স্কুল সিস্টেম যতটুকু সংযুক্ত থাকে, তার থেকে ব্যাপারটা শিক্ষকদের জন্যই ভালোভাবে কাজ করে। ধরা যাক, একটা অংক ক্লাসে শিক্ষক উনার শিক্ষার্থীদের কয়েকটা অ্যাবিলিটি গ্রুপে ভাগ করে ফেলতে পারেন - সেখানে একই ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট না দিয়ে বরং যারা ভালো তাদের জন্য একটু কঠিন অ্যাসাইনমেন্ট দিলে তাদেরকে ঠিকভাবে সংযোগ করা সম্ভব হয়।
অ্যাবিলিটি গ্রুপিং/ট্র্যাকিং
Tracking is separating students by academic ability into groups for all subjects or certain classes and curriculum within a school. It may be referred to as streaming or phasing in certain schools.
In a tracking system, the entire school population is assigned to classes according to whether the students' overall achievement is above average, normal, or below average. Students attend academic classes only with students whose overall academic achievement is the same as their own.
-- Tracking (education), Wikipedia
গ্রুপিং সহজ করে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
এ ধরনের ‘অ্যাবিলিটি ট্র্যাকিং’ দিয়ে শিক্ষক নিজেই তার সুবিধার জন্য পুরো ক্লাসকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নেন। দেখা গেছে, যারা ভালো করছে তাদেরকে এই ট্র্যাকিং আরও উন্নত শিক্ষার সুবিধা দেয়। ব্যাপারটা এরকম যে, একই শিক্ষার্থী যে অংকে খুব ভালো অথচ ইংরেজিতে খারাপ সেখানে তাকে অংকের বাড়তি সময়টাকে ইংরেজির জন্য আলাদাভাবে দেওয়া যেতে পারে। তবে যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন শিক্ষার ভেতরে ঢুকে পড়েছে সেখানে এ ধরনের অ্যাবিলিটি গ্রুপিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কুলিং সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে যাবে। এখানে অনেকে বলতে পারেন, যারা সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের মনের ভেতরে প্রতিযোগিতার মান কমে যেতে পারে, তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে যেহেতু প্রতিটা শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে ট্র্যাকিং করা হচ্ছে - সেখানে গ্রুপগুলোকে আলাদাভাবে অ্যানালাইসিস করলে তাদেরকেই সহায়তা প্রদান করা যাবে ঠিকমতো।