কমিউনিকেশন স্কিল তৈরিতে নিজেকে ইনভেস্ট করা
লিংকডইনের “ট্যালেন্ট ইন্সাইট টুল” এর ‘ফাইন্ডিংস’
২০১৮ সালের শেষদিকে ঘটনা। জেফ ওয়াইনার, লিংকডইনের ‘সিইও’ কয়েকটা স্টাডির ‘ফাইন্ডিংস’ দেখিয়েছিলেন, কিভাবে কোম্পানিগুলো কিছু নির্দিষ্ট সফট-স্কিল এর পেছনে ছুটছে। তাদের (লিংকডইনের) নিজস্ব “ট্যালেন্ট ইন্সাইট টুল” ব্যবহার করে দেখিয়েছিলেন - যে ধরনের জব ‘ওপেনিংস’ অনলাইনে পোস্ট করা হয় তার চাহিদাকৃত কোন কোন স্কিলগুলো ঠিকমতো মেটাতে পারছে না। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্কিল গ্যাপ হচ্ছে সফট স্কিল। এই ১.৬ মিলিয়ন সফট-স্কিল গ্যাপের মধ্যে প্রায় ৯৯৩ হাজার প্রার্থীদের মধ্যে মৌখিক মানে ‘ওরাল কমিউনিকেশন’ স্কিল পায়নি কোম্পানিগুলো। এর পাশাপাশি, এই সফট-স্কিল গ্যাপে ১৪০ হাজার পোস্ট যেখানে ‘রাইটিং’ অর্থাৎ লেখালিখির স্কিলের মানুষ পায়নি তারা। এর পাশাপাশি, ‘লিডারশিপ’ এবং ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’ নিয়েও একটা বড় মার্কেট গ্যাপ আছে এখনো।
তবে মজার কথা হচ্ছে, এই সব কিছুর সাথে ডাটা এনালাইসিস এর একটা ভালো সম্পর্ক আছে। কোম্পানিগুলো থেকে ‘হায়ারিং ম্যানেজাররা আশা করেন, প্রার্থীরা যে কাজেই আসুক না কেন, তার ডাটা এনালাইসিস এবং অন্যান্য কমিউনিকেশন স্কিল যাতে সঙ্গে থাকে। ওয়াইনারের বক্তব্য হচ্ছে, যতই নতুন ধরনের একুশ শতকের স্কিলের ডিমান্ড আসুক না কেন, ভালো ধরনের কমুনিকেশন স্কিল লাগবে সবসময়ে। এই কমিউনিকেশন স্কিল ততটাই ভালো লেভেলে যাবে যখন এর সাথে ডাটাকে ব্যবহার করা হবে।
ডাটা এক্সপ্লোর করার সফট-স্কিল
'ডাটা এক্সপ্লোরেশন' একটা বেসিক স্কিলে দাড়িয়ে গেছে ইদানিং। ওপরের ঘটনার পাশাপাশি, আইবিএম এর রিসার্চের জন্য ‘বার্নিং গ্লাস টেকনোলজি’ বলে একটা কোম্পানি বড় ধরনের স্টাডি করেছিল। সেখানে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলো প্রার্থীদের কাছ থেকে ডাটাকে ঠিকমতো ব্যবহার করার ব্যাপারে বেশকিছু সফট-স্কিল আশা করছে। কোম্পানিগুলো ধারণা করছে, একজন প্রার্থীকে যেই কাজের জন্য নেয়া হোক না কেন - তাদের যাতে ‘ডাটা এক্সপ্লোর’ করার ক্ষমতা থাকে। ডাটা থেকে ধারণা নেবার ক্ষমতা থাকে। কারণ, এখন আশেপাশে সবই ডাটা। এই ডাটা এক্সপ্লোর করার ক্ষমতার সাথে ভালো ‘প্রবলেম সলভিং’ এবং লেখালেখির স্কিল চলে আসে। ইদানিং এগুলোকেই বেসিক স্কিল হিসেবে ভাবছে সবাই।
আপনি ওপরের ডায়াগ্রামটা দেখুন, শুরুতেই চলে এসেছে ‘ক্রিয়েটিভিটি’, যার অর্থ হচ্ছে ডাটা নিয়ে কাজ করার সময় যত ধরনের সমস্যা আসবে,সেই সমস্যাগুলোকে ‘সলভ’ করতে গিয়ে তাদেরকে অনেকটাই ‘ক্রিয়েটিভ’ হতে হবে। যারা ভালো ‘প্রবলেম সলভার’, তারা জানেন কিভাবে ডাটা থেকে একটা সমস্যার সমাধানের ভেতরে ঢুকতে হয়। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে, এ ধরনের সফট-স্কিল আমাদের সাইন্স কোর্সওয়ার্ক, অর্থাৎ যেগুলো আমরা সচরাচর পড়ছি, সেই সাইন্স, ফিন্যান্স এবং পরিসংখ্যান পড়ার সময় সময় শেখানো হয় না। বরং এ ধরনের আইডিয়াগুলো আসে, আশেপাশের সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান (সনাতন ভাবে নয়) করা হচ্ছে তার ভেতর থেকে। এ ধরনের সফট-স্কিল ডেভলপ করার জন্য ডাটার ব্যবহার জানা একুশ শতকে জরুরী হয়ে পড়েছে।