Skip to content

সামনে কোথায় যাবো?

আমরা কোথায় যেতে চাই?

You're either the one that creates the automation or you're getting automated.

—Tom Preston-Werner

ফাইনালি! বইটা শেষের দিকে চলে এসেছে। কি করা যায় বলুন তো? বাংলাদেশে মোটা বই লিখলে তো মানুষ ভয় পেয়ে যায়। আমার আগের বইটা ৪০০ পৃষ্ঠা হয়ে গিয়েছিলো বলে অনেকেই কিনতে সাহস পাননি। তাই এবার ভাবলাম, চলুন একটু ডায়েটে থাকি! বইটাকে খাটো করে এনেছি। চেষ্টা করেছি কনটেক্সটে আনতে।

তবে কি জানেন, আমার মাথায় এখনও অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার প্রিয় কিছু টপিক (যা একটু অ্যাডভান্সড, বেসিক না) দ্বিতীয় পর্বের জন্য সেভ করে রেখেছি। যদি কখনও দ্বিতীয় বা তৃতীয় পার্ট লিখতে বসি, তাহলে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামাবো। আর যদি বই লেখার জন্য সময় না পাই (কারণ, আপনারা তো জানেনই, আমি কত ব্যস্ত!), তাহলে এই জিনিসগুলো অনলাইনে পড়ে নিতে পারেন। এগুলোকে 'কীওয়ার্ড' ধরে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।

অধ্যায় ৯: NFV আর SDN - নেটওয়ার্ক অটোমেশনের নতুন বন্ধু

এই অধ্যায়ে আমরা দেখব NFV আর SDN কীভাবে নেটওয়ার্ক অটোমেশনের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করে।

  • NFV (Network Functions Virtualization): এটা হল এমন একটা জিনিস যা পুরনো হার্ডওয়্যার-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ফাংশনগুলোকে ভার্চুয়াল মেশিনে নিয়ে যায়। ফলে, নেটওয়ার্ক চালানো হয়ে যায় অনেক সহজ, আর নতুন সার্ভিস চালু করতে লাগে কম সময়।

  • SDN (Software-Defined Networking): এটা হল নেটওয়ার্কের মাথা (কন্ট্রোল প্লেন) আর শরীর (ডাটা প্লেন) কে আলাদা করে সফটওয়্যার দিয়ে চালানোর একটা কৌশল। এতে নেটওয়ার্ক হয়ে যায় অনেক বেশি ম্যানেজেবল আর প্রোগ্রাম করার যোগ্য।

NFV আর SDN কেন অটোমেশনের জন্য এত important:

  • প্রোগ্রাম করার সুবিধা: NFV আর SDN দিয়ে নেটওয়ার্ককে সফটওয়্যার দিয়ে চালানো যায়, যা অটোমেশনকে করে তোলে সহজতর।
  • সবকিছু একসাথে: NFV আর SDN বিভিন্ন কোম্পানির নেটওয়ার্ক জিনিসপত্রকে একসাথে কাজ করতে সাহায্য করে, যাতে অটোমেশনের জন্য একটাই ইন্টারফেস লাগে।
  • নিমিষেই ব্যবহার: NFV আর SDN নেটওয়ার্ককে করে তোলে অনেক বেশি ম্যানেজেবল, যাতে নতুন সার্ভিস আর অ্যাপ চালু করা যায় এক নিমেষে।
  • এক্সপ্যান্ড করা যায় সহজে: NFV আর SDN নেটওয়ার্ককে বড় করতে সাহায্য করে, যাতে বিশাল আর জটিল নেটওয়ার্ক চালানো যায় সহজে।

অধ্যায় ১০: CI/CD আর নেটওয়ার্ক অটোমেশন - নতুন যুগের শুরু

এই অধ্যায়ে আমরা দেখব কীভাবে CI/CD (Continuous Integration/Continuous Deployment) আর নেটওয়ার্ক অটোমেশনকে একসাথে ব্যবহার করা যায়। GitOps, GitLab, Docker - এই সব জিনিস নিয়ে একটু মাথা ঘামাব।

  • CI/CD: এটা হল সফটওয়্যার বানানোর একটা কৌশল যা কোডের পরিবর্তনগুলোকে দ্রুত আর নির্ভরযোগ্যভাবে প্রোডাকশনে পাঠাতে সাহায্য করে।
  • GitOps: এটা হল একটা মডেল যেখানে ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে কোড হিসেবে দেখা হয় আর Git ব্যবহার করে সব পরিবর্তন ট্র্যাক করা হয়।
  • GitLab/Docker: এগুলো হল জনপ্রিয় টুল যা CI/CD পাইপলাইন বানাতে ব্যবহার করা হয়।

CI/CD আর নেটওয়ার্ক অটোমেশন একসাথে ব্যবহার করলে কি লাভ:

  • তড়িঘড়ি ডিপ্লয়মেন্ট: নেটওয়ার্কের পরিবর্তনগুলো এক নিমেষে প্রোডাকশনে পাঠানো যায়।
  • কম ঝামেলা: মানুষের হাতে করা ভুল কমে যায়।
  • দক্ষতা বাড়ে: নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়াররা আরও জটিল কাজে মন দিতে পারেন।

আমার মনে হয়, GitOps, Docker, GitLab এসব ব্যবহার করে কীভাবে নেটওয়ার্ক অটোমেশন পাইপলাইন বানানো যায়, সেটা দেখতে হবে।

যেসব জিনিস না জানলে চলবে না

  • ক্লাউড নেটওয়ার্কিং: AWS, Azure, GCP এর মত ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে নেটওয়ார্ক অটোমেশন: ক্লাউডে নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য কি কি স্পেশাল টুল আর ট্রিক লাগে, সেটা দেখা উচিত।
  • সাইবার সিকিউরিটি: নেটওয়ার্ক অটোমেশনে সাইবার সিকিউরিটি কীভাবে ঠিক রাখা যায়: অটোমেশন করতে গিয়ে কোন কোন সিকিউরিটি ঝুঁকি আসে, আর সেগুলো কীভাবে সামলানো যায়, সেটা দেখা যেতে পারে।
  • নেটওয়ার্ক অটোমেশনের ভবিষ্যৎ: AI আর মেশিন লার্নিং এর প্রভাব: এটা আমার প্রিয় জায়গা। AI আর মেশিন লার্নিং কীভাবে নেটওয়ার্ক অটোমেশনকে আরও চমৎকার করতে পারে, সেটা নিয়ে আমি ইদানীং ভিডিও বানাচ্ছি।

কল্পনা করুন, আপনার বাড়ির ইন্টারনেট একদম ঠিকঠাক চলছে। হঠাৎ কোনো সমস্যা হলেই একটা রোবট (মানে সফটওয়্যার রোবট, যেটা নেটওয়ার্ক দিয়ে আসবে, বা আপনার রাউটারে বসে থাকবে) এসে নিজে থেকে ঠিক করে দিচ্ছে! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এটাই হতে চলেছে নেটওয়ার্ক অটোমেশনের ভবিষ্যৎ!

কীভাবে? আসুন জেনে নিই।

AI আর মেশিন লার্নিং: নেটওয়ার্কের নতুন সুপারহিরো

নেটওয়ার্কের বিশাল জঙ্গলে কোথাও সমস্যা হলে, তা খুঁজে বের করা আর ঠিক করা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু AI আর মেশিন লার্নিং নামে দুই সুপারহিরো এসেছে এই কাজে সাহায্য করতে। এই জিনিস নিয়েই আছে আমার ৮টা বই! অনেকদিন ধরে বসে ছিলাম, কবে কাপড় ভাঁজ করা আর জুতার ফিতা বাঁধার রোবট আসবে? সেটাও চলে এসেছে, আর থাকে কি?

  • ভবিষ্যদ্বাণী: এই সুপারহিরোরা নেটওয়ার্কের ডেটা দেখে আগেই বলে দিতে পারে কোথায় সমস্যা হতে পারে। আপনার বাড়ির ইন্টারনেটের মোডেমটা যদি খারাপ হওয়ার পথে থাকে, তাহলে এই রোবটরা তা আগেই টের পেয়ে যাবে এবং আমাকে/কোম্পানিকে খবর দিয়ে দেবে।
  • অটো পাইলট: নতুন ডিভাইস যোগ করলে, বা পুরানোটা বিদায় নিলে, এই রোবটরা নিজে থেকে সব সেটিংস ঠিক করে নেবে। আপনাকে কিছু করতে হবে না, বসে বসে চা খান!
  • সুপার পুলিশ: নেটওয়ার্কে কোনো দুষ্টু হ্যাকার বা ভাইরাস ঢুকলে, এই রোবটরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ধরে ফেলবে। আপনার গোপন তথ্য থাকবে নিরাপদে।
  • সব কিছু সেরা করা: এই রোবটরা নেটওয়ার্ককে সবসময় টপ শেপে রাখার চেষ্টা করবে। যাতে আপনি সবসময় রকেট স্পিডে ইন্টারনেট চালাতে পারেন।
  • নিজে নিজে মেরামত: কোনো সমস্যা হলে, এই রোবটরা নিজে থেকে তা ঠিক করার চেষ্টা করবে। আপনাকে আর কোনো টেকনিশিয়ানের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবে না।

ভবিষ্যৎ কেমন হবে?

সামনের দিনের কথা শুনলে তো মাথা ঘুরে যায় অনেকের! AI আর মেশিন লার্নিং যেন নেটওয়ার্ক অটোমেশনের জাদুর কাঠি নিয়ে হাজির। এরা এমন চমৎকার করে সব সাজিয়ে দেবে যে, আমাদের নেটওয়ার্ক হয়ে যাবে সুপার-ফাস্ট, সুপার-সেফ, আর সুপার-স্মার্ট!

কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, এই AI রোবটরা যতই স্মার্ট হোক না কেন, এদের পিছনে থাকব আমরা - হ্যাঁ, আমরা মানুষেরা! এরা যেন আমাদের ডিজিটাল বাচ্চা, আমরাই এদের বানাব, আমরাই এদের চালাব। তাই, আমাদেরও স্মার্ট হতে হবে, নাকি?

তো, আপনি যদি ভাবেন যে, "Yes! এবার তো বেশ আরাম, AI সব করবে, আমি ঘুমাব!" - তাহলে বিপদ বাড়বে! এই টেকনোলজির রেস-এ টিকে থাকতে হলে, আমাদেরও দৌড়াতে হবে। নতুন প্রযুক্তি শিখতে হবে, নিজেকে আপডেটেড রাখতে হবে। মানে কি? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন - পড়াশোনা থেকে ছুটি নেই, টেকজায়ান্ট!

তবে ভয় পাবেন না, এটা আসলেই মজার ব্যাপার। ভাবুন, আপনি একজন সুপারহিরো, আর এই AI রোবটরা আপনার সুপার-পাওয়ার। আপনি যত বেশি শিখবেন, ততই আপনার পাওয়ার বাড়বে!

যাক, এবার বইয়ের এই অংশটুকু এখানেই শেষ। কিন্তু চিন্তা করবেন না, আমি আবার ফিরে আসব (যদি সময় পাই, হা হা!)। তখন দ্বিতীয় পর্বে আরও মজার কিছু নিয়ে গল্প করব। তবে মনে রাখবেন, এগুলোই ভবিষ্যৎ - তো প্রস্তুত থাকুন!

আর হ্যাঁ, ভালো থাকবেন। মনে রাখবেন, আপনি একজন টেক সুপারহিরো! 🦸‍♂️💻🚀