এন্টারপ্রাইজ হটস্পট ডিপ্লয়মেন্ট
এন্টারপ্রাইজ হটস্পট ডিপ্লয়মেন্ট সাধারণ হোম ওয়াইফাই থেকে অনেক বেশি জটিল। এখানে মূলত ইউজার ম্যানেজমেন্ট, সিকিউরিটি এবং স্কেলেবিলিটি—এই তিনটা বিষয়ের ওপর ফোকাস করতে হয়। টিমের জন্য Captive Portal এবং Ubiquiti UniFi ইকোসিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে একটি গভীর টেকনিক্যাল গাইড নিচে আলাপ করা যাক:
এন্টারপ্রাইজ হটস্পট ও UniFi ডিপ্লয়মেন্ট গাইডলাইন¶
১. হটস্পট আর্কিটেকচার (ISP পারসপেক্টিভ)¶
একটি এন্টারপ্রাইজ সলিউশনে আর্কিটেকচার এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়।
- VLAN সেগমেন্টেশন: গেস্ট ট্রাফিক এবং ইন্টারনাল ম্যানেজমেন্ট ট্রাফিক কখনোই এক রাখা যাবে না। ম্যানেজমেন্টের জন্য আলাদা VLAN (যেমন VLAN 10) এবং গেস্ট হটস্পটের জন্য আলাদা VLAN (যেমন VLAN 20) থাকতে হবে।
- Layer 3 ল্যাটেন্সি: গেস্টরা যখন কানেক্ট করবে, তখন তাদের ডিফল্ট গেটওয়ে বা কোর রাউটারের ল্যাটেন্সি যেন ন্যূনতম হয়। ISP লেভেলে ব্যাকএন্ডে RADIUS Server (যেমন FreeRADIUS) বা MikroTik User Manager ব্যবহার করে ইউজার অথেনটিকেশন ম্যানেজ করা যায়।
২. ক্যাপটিভ পোর্টাল (Captive Portal) সলিউশন¶
ক্যাপটিভ পোর্টাল হলো সেই গেটওয়ে যেখানে ইউজাররা লগইন করে।
- অ্যালোকেশন: ইউনিফাই কন্ট্রোলারে 'Guest Control' সেকশনে গিয়ে ক্যাপটিভ পোর্টাল সেটআপ করা হয়। এখানে 'Terms of Service', 'Promotional Images' এবং 'Redirect URL' সেট করতে হবে।
- অথেনটিকেশন মেথড: এন্টারপ্রাইজ লেভেলে 'Voucher-based' বা 'External RADIUS' অথেনটিকেশন সবচেয়ে বেশি কার্যকর। ভাউচার সিস্টেমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্পিড এবং ডাটা লিমিট (Quota) সেট করে দেওয়া যায়।
- Pre-Authorization Access: পোর্টাল লোড হওয়ার আগে ইউজারের ফোনকে যেন কন্ট্রোলারের সাথে কানেক্ট হতে দেওয়া হয় (Walled Garden), তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ফোনের ব্রাউজারে 'Login Page' আসবে না।
৩. UniFi কন্ট্রোলার ও ডিভাইস প্রোভিশনিং¶
ইউনিফাই সিস্টেমের প্রাণ হলো এর কন্ট্রোলার (Cloud Key বা Software Controller)।
- Adoption: নতুন এক্সেস পয়েন্ট (AP) নেটওয়ার্কে লাগানোর পর সেটা কন্ট্রোলারে 'Pending Adoption' হিসেবে দেখাবে। এটিকে প্রোভিশন করার সময় প্রথমেই তার ফার্মওয়্যার আপডেট করে নিতে হবে।
- Site Management: যদি লিংক-৩ এর অনেকগুলো ক্লায়েন্ট থাকে, তবে কন্ট্রোলারে আলাদা আলাদা 'Site' তৈরি করুন। এতে এক ক্লায়েন্টের সেটিংস অন্য ক্লায়েন্টের সাথে মিশবে না।
- Static IP for APs: প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টকে একটি স্ট্যাটিক আইপি দেওয়া ভালো, যাতে নেটওয়ার্ক রিস্টার্ট হলেও ম্যানেজমেন্ট কানেকশন ঠিক থাকে।
৪. পারফরম্যান্স টিউনিং (Advanced Tuning)¶
সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় যেখানে অনেক মানুষ একসাথে ওয়াইফাই ব্যবহার করে।
- Band Steering: এটি অবশ্যই অন রাখতে হবে। এটি ৫ গিগাহার্টজ সাপোর্ট করে এমন ডিভাইসগুলোকে জোর করে ওই ব্যান্ডে পাঠায়, ফলে ২.৪ গিগাহার্টজের জ্যাম কমে।
- Minimum RSSI: এটি একটি প্রো-লেভেল সেটিং। যদি কোনো ইউজারের সিগন্যাল -৭৫ বা -৮০ ডিবিএম-এর নিচে চলে যায়, তবে এপি তাকে অটোমেটিক ডিসকানেক্ট করে দেবে। এতে ওই ইউজার পাশের শক্তিশালী এপিতে কানেক্ট হতে বাধ্য হবে।
- Airtime Fairness: এটি অন করলে পুরনো বা স্লো ডিভাইসগুলো নেটওয়ার্কের সব সময় নষ্ট করতে পারবে না। এতে হাই-স্পিড ডিভাইসগুলো ভালো পারফরম্যান্স পাবে।
- Channel Width: এন্টারপ্রাইজ পরিবেশে ৫ গিগাহার্টজের জন্য ৮০ মেগাহার্টজ ব্যবহার না করে ৪০ মেগাহার্টজ ব্যবহার করা নিরাপদ, এতে ইন্টারফারেন্স কমে।
৫. ট্রাবলশুটিং গাইড¶
ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য তিনটি কমন সমস্যা ও সমাধান:
- Portal not redirecting: চেক করুন কন্ট্রোলারের আইপি যেন গেস্ট নেটওয়ার্ক থেকে রিচেবল হয়। ফায়ারওয়ালে পোর্ট ৮৮৪৩ এবং ৮০৮০ ওপেন আছে কিনা দেখুন।
- Sticky Clients: ইউজার এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গেলেও পুরনো দুর্বল এপিতেই কানেক্ট হয়ে থাকে। সমাধান: Minimum RSSI সেট করা।
- Broadcast Storm: যদি অনেক বেশি এপি থাকে, তবে নেটওয়ার্কে 'Multicast and Broadcast Data' ব্লক করে দিন (UniFi সেটিংসে এই অপশন আছে)।
একটা টেকনিক্যাল উদাহরণ¶
ধরুন একটি বড় কনফারেন্স হলে ৫০০ ইউজার একসাথে কানেক্ট হবে।
সমাধান: এখানে শুধু পাওয়ার বাড়ালে হবে না। আপনাকে ৩টি বা ৪টি এপি বসাতে হবে এবং প্রতিটার ট্রান্সমিট পাওয়ার 'Medium' বা 'Low' করে দিতে হবে। এতে ওভারল্যাপ কম হবে এবং 'Cell Size' ছোট হওয়ার কারণে প্রতিটা এপি নির্দিষ্ট সংখ্যক ইউজারকে ভালো সার্ভিস দিতে পারবে।