Skip to content

আমি কেন আইএসপিতে এলাম?

'আইএসপি'এর গ্রোথ অপুর্চুনিটি কোথায়?

অবসরের পর গত দু বছরে যেই প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি পেয়েছি, আইএসপিতে কেন এলাম আমি?

ইন্টারনেট এবং জিডিপি

The rapidly growing Internet sector accounted for $2.1 trillion of the U.S. economy in 2018, or about 10% of the nation’s gross domestic product (GDP).

Same year, Manufacturing accounted for about $2.3 trillion in U.S. GDP.

-- Reuters: September 27, 2019

কেন দরকার ইন্টারনেট?

ইন্টারনেট ইজ দ্য গ্রেটেস্ট ইকুয়ালাইজার, এই কথাটা আমি বোঝা শুরু করেছিলাম বাংলাদেশে অফলাইন ইন্টারনেট যুগের শুরু থেকে। সরকারে প্রায় ৩২ বছর ছোট বড় হাইটেক সলিউশন নিয়ে কাজ করার পর পরবর্তী ক্যারিয়ার ট্র্যাক নিয়ে মানসিকভাবে কিছুটা ওয়ার্কআউট করছিলাম অবসর পূর্ব এক বছরের ছুটিতে। কানেক্টিভিটি ব্যাপারটা আমার রক্তে ছিল সবসময়ে। পাশাপাশি, এমন একটা জায়গা খুঁজছিলাম, যেখানে 'অটোমেশন' নিয়ে কাজ করার প্রচুর স্কোপ আছে। ছোটবেলা থেকে অফলাইন ইন্টারনেট অর্থাৎ ইউইউসিপি একাউন্ট দিয়ে ইমেইল, অফলাইন নিউজ সার্ভার এবং এফটিপি ব্রাউজিং করে সমসাময়িকদের থেকে কিভাবে এগিয়ে থাকা যায় সেটা দেখছিলাম তখনই।

সেনাবাহিনীতে নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরিতে হাতেখড়ি হয় বিভিন্ন স্থাপনাতে। সেটা আরো গতি পায় যখন আমি বিটিআরসিতে সাত বছরের জন্য যাই। তবে, তার আগেই ইন্টারনেটের "ফেরিওয়ালা" হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ হয়েছিল সামরিক বাহিনীতে। সেনানিবাসগুলোর ভেতরে বিভিন্ন সিকিউরড 'ইন্ট্রানেট' তৈরিতে। সেটা চূড়ান্ত হয় এনটিএমসি'র মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে। ছয় বছরের বিশাল কাজে নেটওয়ার্কিং 'অটোমেশন' আমাকে দেয় নতুন দিগন্ত। অটোমেশন ইজ দ্য ফিউচার। বিশেষ করে, আইএসপি', ম্যানেজড সার্ভিস প্রোভাইডার (এমএসপি) এবং ডাটাসেন্টারের মতো সার্ভিস সেক্টরে।

ইন্টারনেট এবং জিডিপি'র সম্পর্ক

ইন্টারনেট এবং ইকোনমিক গ্রোথ

The coefficient on ln(internet) is 0.804, therefore a 10% increase in the number of internet users increases GDP Per Capita Growth by 8.04%. The t-statistic is 2.66, therefore, it appears to be a significant indicator of economic growth.

-- The impact of Internet on economic growth in Bangladesh, City University of New York (CUNY)

ছোটবেলায় পড়েছিলাম, যেই এলাকার পাশ দিয়ে রেললাইন যায় সেটার ইকোনোমিক এক্টিভিটি বাড়ে, মানুষের সচ্ছলতা দেখা যায় সেই রেলস্টেশনের আশেপাশে। পাশাপাশি, যে এলাকাতে ইলেকট্রিসিটি যায়, সেই এলাকার স্বাচ্ছন্দ চলে আসে তারের মধ্য দিয়ে। সেই একই আইডিয়া থেকে বিশ্ব ব্যাংক একটা বিশাল রিসার্চ করেছিল অনেক আগে। যেখানে দেখা গেছে, যেখানে ইন্টারনেট বা ব্রডব্যান্ড যায় সেখানে ইকোনমিক এক্টিভিটি এবং জিডিপি বাড়ে। দেখা গেছে, ১০% ইন্টারনেট পেনিট্রেশন বাড়লে দেশের জিডিপি এক শতাংশের বেশি বাড়ে। এর অর্থ হচ্ছে, ব্রডব্যান্ড হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক অধিকার।

ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের প্রোডাক্টিভিটি

স্মল / বিগ স্ক্রিন

Toward characterizing the Productivity benefits of very large Displays.

-- Microsoft Research

স্মল স্ক্রিন এবং বিগ স্ক্রিন আইডিয়া: স্মল স্ক্রীন ব্যবহারকারী বাঁড়ার অর্থ হচ্ছে কনজিউমার ইকোনোমি বাড়ছে, যারা কনটেন্ট যেমন ভিডিও অডিও, ছোটখাটো অনলাইন ট্রানজেকশন করছেন, তবে সেখানে ইকোনমিক এক্টিভিটি যতটুকু হচ্ছে তার থেকে বেশি ইকনোমিক এক্টিভিটি আসছে বিগ স্ক্রিন থেকে। ছোট স্ক্রিন অর্থ হচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে যতটুকু ইকোনোমিক এক্টিভিটি করা যায়, সেখানে বিগ স্ক্রিন অনেক বেশি ইকোনমিক এক্টিভিটি আনে সেই ব্যবহারকারীর পক্ষ হয়ে। বিগ স্ক্রিন অর্থ হচ্ছে প্রোডাক্টিভ ইকোনোমি, আমি কোন প্রডাক্টিভ কিছু তৈরি করছি, সেটাকে আপলোড করছি, সেটাকে বিক্রি করছি। যেখানে প্রোডাকশন এবং আয় করা যায়। সেটা ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে বড় বড় মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট নামাতে প্রয়োজন বিগ স্ক্রিন, অর্থাৎ ল্যাপটপ পিসি যার সাথে সরাসরি সংযোগ হচ্ছে ব্রডব্যান্ড।

নেটওয়ার্ক থেকে প্রজ্ঞা

নেটওয়ার্ক ভিজিবিলিটি

With enhanced visibility into your network’s applications, hosts, conversations and QoS information, you can proactively manage your network to reduce outages, solve problems faster and ensure efficient and cost-effective operations. Network Flow Analysis can help you align resources to support business results, gain credibility and support with data-driven decisions.

-- Optimize application performance with 100 percent visibility into network traffic flow (Broadcom)

কয়েকটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে কাজ করে নেটওয়ার্কের ট্রাফিক ভিজিবিলিটি দেখে যেটা মনে হয়েছে, আমাদের কাস্টমার যেটা চান সেটা হয়তোবা আমরা ঠিকমতো দিতে পারছি না। একজন গ্রাহকের আচরণ যদি সেবাপদানকারী প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই বুঝতে পারেন, তাহলে সেই গ্রাহক তার সার্ভিস সংক্রান্ত এবং অন্যান্য সমস্যায় পড়ার আগেই সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তার সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। আজকে ই-কমার্স সাইটগুলো তাদের গ্রাহকের আচরণের উপর ভিত্তি করে উনি ভবিষ্যতে কি কি কেনাবেচা করতে পারেন সেটা যদি 'রিকমেন্ডেশন' ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করাতে পারেন তাহলে, আইএসপি'র মত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের চাহিদার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে উনি কি কি সার্ভিস নিতে আগ্রহী হবেন/কোন সেবাগুলোর জন্য উনার নেটওয়ার্ক রি-ডিজাইন হবে, সেটা আসবে নেটওয়ার্ক/সার্ভিস সংক্রান্ত ডাটার এনালাইসিস থেকে।

আইএসপি ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সমস্যা থাকলেও এখানে গ্রোথ অপুর্চুনিটি অসাধারণ! আমাদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড কানেকশন এখনো ডাবল ডিজিট ধরতে পারেনি। আর সেকারণে, এই সেক্টরে গ্রোথ অপুর্চুনিটি অন্য লেভেলে যাবে। গ্লোবালাইজেশনের যুগে গ্লোবাল আইএসপিরাও আগ্রহ দেখাচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। বিশাল মার্কেট, স্টিল আন-ট্যাপড!

কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এবং রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জ

কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক কোথায়?

The global Content Delivery Network (CDN) Market is expected to grow from USD 17.70 billion in 2021 to USD 81.86 billion by 2030, at a CAGR of 18.55% during the forecast period 2022-2030.

-- Content Delivery Network (CDN) Market 2023 Competitive and Statistical Analysis, and Current Market Trends to 2032

বাংলাদেশের ইন্টারনেটের স্পিড নিয়ে একটা বিতর্ক আছে, রেগুলেটর এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সেটার আসল স্ট্যাটাস নিয়ে সমস্যা আছে, এদিকে 'দ্য স্টেট অফ ব্রডব্যান্ড' রিপোর্ট আলাদা কথা বলে। এর অর্থ হচ্ছে আমাদের ইন্টারনেটের ভেতরে এখনো অনেক বড় বড় "বটলনেক" আছে, (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সহ) যেটা নিয়ে গ্লোবাল সার্ভিস প্রোভাইডার সহ (গুগল, ফেইসবুক, নেটফ্লিক্স, ক্লাউডফেয়ার ইত্যাদি) সরকার, রেগুলেটর, ইন্ডাস্ট্রিসহ কাজ করতে চাই। শুধুমাত্র রেগুলেটরকে দোষ দিলে হবে না, এখানে ইন্ডাস্ট্রিকেও একসাথে কাজ করতে হবে যাতে ইন্টারনেটের সেবা কিভাবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে দেওয়া যায়। কারণ, সরকারও চান, একদম গ্রাহকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে। ব্রডব্যান্ড নিয়ে। একটা ইন্টারনেটের কানেকশন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চার/পাঁচজন সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ঘুরে আসে, তাহলে ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্রটোকল অনুযায়ী 'কোয়ালিটি অফ সার্ভিস প্যারামিটার' কার সাথে কোথায় কোন "থ্রেশহোল্ড" ভ্যালুতে থাকবে সেটা বের করা সবার দায়িত্ব। এটা ঠিকমতো না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহক ভোগান্তিতে থাকবেন। এই জায়গায় ইন্ডাস্ট্রিতে বসে রেগুলেটরের সাথে কাজ করতে চাই আমি।

কেন কনটেন্ট আসছে না দেশের ভেতরে?

ইন্টারমিডিয়ারি লায়াবিলিটি (ড্রাফট)

ইন্টারমিডিয়ারি লায়াবেলিটি প্রটেকশন

Whether and when communications platforms like Google, Twitter and Facebook are liable for their users’ online activities is one of the key factors that affects innovation and free speech. Most creative expression today takes place over communications networks owned by private companies.

Governments around the world increasingly press intermediaries to block their users’ undesirable online content in order to suppress dissent, hate speech, privacy violations and the like. One form of pressure is to make communications intermediaries legally responsible for what their users do and say.

-- The Center for Internet and Society at Stanford Law School

কেন কন্টেন্ট হোস্টিং দেশের ভেতরে আসতে চাচ্ছে না?

ইন্টারনেটের শুরুর দিকে কনটেন্ট পাবলিশাররা কন্টেন্টের মালিকানা অথবা কনটেন্টের ‘ওনার’ হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে যখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং এরকম ধরনের ‘ইন্টারমিডিয়ারি সলিউশন’ চলে আসে - তখন সেই কনটেন্টের মালিকানা হয়ে যায় তার গ্রাহক। আবার, এটার লায়াবিলিটি চলে যায় প্লাটফর্ম ওনারদের কাছে। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ‘ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট’, সে কারণে গ্রাহকদের কনটেন্টের মালিকানা নিয়ে যদি সোশ্যাল মিডিয়াকেই জবাবদিহিতা করতে হয়, তখন তারা সে দেশের ভেতরে কন্টেন্ট আনতে ভয় পায়। এদিকে কনটেন্টগুলো দেশের ভেতরে না থাকলে - সেটার কারণে আন্তর্জাতিক সার্কিট এবং ট্রান্সমিশনের খরচ গ্রাহকের উপরে বর্তায়। এতে ইন্টারনেটের দাম কমানোর যৌক্তিকতা ব্যাহত হয়। এ কারণে অনেক দেশে এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে একটা লেভেল পর্যন্ত ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেন্ডলি রাখার জন্য প্রটেকশন দেওয়া হয়। এটা একটা আইনগত ভিত্তি, যেটা নিয়ে অর্থাৎ ইন্টারমিডিয়ারি লায়াবেলিটি প্রটেকশন নিয়ে কাজ করতে হবে।

থার্ড-পার্টি ইন্টিগ্রেশনের কারণে ইনোভেশন

ইন্টারনেটের গ্রাহক সেবার মধ্যে নতুনত্ব আনার জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং তৃতীয় পক্ষের অ্যাপলিকেশন + মাল্টি-ভেন্ডর নেটওয়ার্ক কম্পনেন্টগুলোকে একসাথে আনছে সবাই। এই সুপার সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন কাজগুলো করে এসেছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বিভিন্ন সার্ভিস ইন্টিগ্রেশন এবং ব্যান্ডলিং এর মাধ্যমে চমৎকার কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স আনা সম্ভব - যখন একটা নেটওয়ার্ক এবং থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সুন্দর ভাবে ইন্টিগ্রেট করে। নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপলিকেশনগুলোর সাথে সংযোগ করে নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি করা, যা সৃজনশীলতাকে অর্থাৎ ইনোভেশনকে নতুন লেভেলে নিয়ে আসে।

আইএসপি এখন লাইফ স্টাইল কোম্পানি

কাস্টমার সার্ভিস

In terms of customer relationships, telecommunication companies have the worst scores, with a median NPS score of 31. Thus, implementing an efficient and helpful digital customer service experience is a significant area of profitability.

-- Synnefo

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের এক্সপেরিয়েন্স থেকে আমরা যেটা বুঝতে পারি, কাস্টমারের একটা বড় অংশ (প্রায় ৪২ শতাংশ) ইন্টারনেট সংযোগ বিভ্রাট তৈরি হয় আমাদের বাসার ‘ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি’তে। এর পাশাপাশি ‘ওভারহেড’ ফাইবার ক্যাবলের জন্য একটা বড় সমস্যা তৈরি হয় (নীতিমালা সম্পর্কিত)। ইদানিং ডাটা এনালাইসিস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কিছু কিছু মডেল ট্রেনিং করার পর একজন কাস্টমারের সমস্যা হবার আগেই এ ধরনের কিছু জিনিস প্রেডিকশন করা যায়। সাধারণ সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার মডেলে রুপান্তর হতে হলে ‘ডিজিটাল ফিচার’ এর মধ্যে অটোমেটেড মেসেজিং, ভার্চুয়াল কিউয়িং, চ্যাট বট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক চ্যানেল ব্যবহার করে ‘সেন্টিমেন্ট এনালাইসিস’ থেকে কাস্টমারকে আরো ভালো সাপোর্ট দেওয়া যায়। নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক থাকার ফলে যে কোন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অনেকগুলো ইউনিক এবং মাল্টিপল সার্ভিস দিয়ে মোনিটাইজেশন পোটেনশিয়াল নিয়ে অনেকদূর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। এর পাশাপাশি, মেশিন লার্নিং এলগরিদম, ডাটা এনালাইসিস আমাদেরকে সাহায্য করছে বিশেষ করে আইওটি, বিএসএস এবং ওএসএস দিয়ে। এতে কাস্টমার ও নতুন ডিজিটাল লাইফ স্টাইলে হচ্ছেন খুশি।

এআই এবং নেটওয়ার্ক অটোমেশন

এআই এবং নেটওয়ার্ক ডাউনটাইম

Imagine knowing that at least once a day, your network connection will go down. On the flip side, 92% of respondents to the __ study said their productivity would increase by an average of 39% if they had uninterrupted network connectivity.

Thanks to artificial intelligence (AI) technologies, your business can now better deliver on employee expectations for seamless connectivity.

-- Got Network Downtime? Here’s How to Proactively Reduce It, NetworkWorld, IDG Communications, Inc.

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং অনেক আগেই ঢুকে গেছে নেটওয়ার্কিং এর মধ্যে। সেটা নিয়ে অসাধারণ কাজ করার ফিল্ড তৈরি হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি এবং নেটওয়ার্ক প্রভিশনিং এর জন্য। এর মধ্যে যোগ হচ্ছে নেটওয়ার্ক অটোমেশন, যার একটা বড় অংশ কাভার করা হবে এই বইটাতে। আমরা যদি এখন নেটওয়ার্ক অটোমেশনের রাস্তায় না হাঁটি, তাহলে ভবিষ্যতে বিশাল স্কেলে (স্কেলআপ সম্ভব নয়) সার্ভিস প্রদান করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। বাংলাদেশে হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যদি কাজ করার সুযোগ থাকে, তাহলে আইএসপি/টেলকো এবং ডাটা সেন্টারে করার বিশাল সুযোগ দেখি এই মুহুর্তে। এখানে প্রচুর স্ক্রিপ্টিং কাজ ছোট ছোট স্টেপে শুরু হলেও বড় লেভেলের অটোমেশন নিয়ে কাজের স্কোপ তৈরি করতে আইএসপি ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে চেয়েছি আমি।

রোড টু হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি: আমরা তৈরি তো?

এই ইন্ডাস্ট্রির গ্রোথ হিসেব করলে ভবিষ্যতে হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য স্কিলড মানুষ তৈরি করা সম্ভব এই সেক্টরে। হাইটেক সেক্টরে আমাদের মানুষ না তৈরি করলে আকাশচুম্বী বেতনে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে মানুষের ফ্লো বাড়তেই থাকবে।

মানুষ কি তৈরি সম্ভব? উত্তর দেবার আগে আমাদেরকে একটু পেছনে তাকাতে হবে, শিক্ষার কারিকুলাম নিয়ে। তবে, দেরী হলেও আমি আশাবাদী।