কনটেন্টে যান

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর প্রোফাইলিং

এস্টাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

আমাদের দেশে শিক্ষার উন্নতর পদ্ধতি আনতে হলে দরকার ডাটার সাথে সখ্যতা। সেধরনের কাজ দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো, ব্যানবেইস এর ‘এস্টাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (IEIMS) প্রকল্প দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরি করার ব্যাপারে সফটওয়্যার এর কাজ চলছে। এই সার্ভিসের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকটা প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরিতে তাদের ফলাফল রাখার ছকগুলো দেখেছি আমি।

আমার ধারণা, শুরুতে কয়েক ধরনের পরীক্ষার ফলাফল রাখার পাশাপাশি পরে এখানে আরো ডিটেইলিং করা সম্ভব হবে। আমি নিজে 'এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম' দেখে মুগ্ধ। কাজ অনেকটাই ঠিক হয়ে এসেছে। তবে, যেটা বুঝতে পারছি - 'ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’টা অসাধারণ হবে যখন শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং এর পেছনের ডাটাসেটগুলো ইন্টিগ্রেট করার জন্য উপর থেকে চাপ থাকবে। আমি টাইমলাইনে বিশ্বাসী। একটা দেশ তখনই মানবিক যখন সবাই তার কাজটাকে নামাবে সময়মতো। তার জন্য দরকার 'অবিশ্বাস্য' টাইমলাইন, যার অনেককিছুই আমার জীবনে নামিয়েছি সময়মতো। এর পাশাপাশি স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের সুবিধার জন্য অ্যাডাপ্টিভ লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে সাহায্য করতে হবে।

বর্তমান 'এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম'

শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল, 'অ্যাবিলিটি গ্রুপিং' সম্ভব সামনে - সঙ্গে 'অ্যাডাপ্টিভ লার্নিং' প্ল্যাটফর্ম

পাশাপাশি, ব্যানবেইজ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট দুটো প্রকল্পের সাথে রেজিস্টার জেনারেলের ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের ‘ইউনিক আইডি ব্যবহার শুরু হচ্ছে। আইন ও বিচার বিভাগের ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ ডাটাবেজের সাথে ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রোগ্রাম’, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ব্যানবেইস এর শিক্ষার্থীদের প্রোফাইলের জন্য ‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম’ এর সাথে যুক্ত হবে।

শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল ঠিকমতো তৈরি হলে 'অ্যাবিলিটি গ্রুপিং' করা সম্ভব - প্রয়োজন পড়লে। আর যখনই শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল থেকে 'অ্যাবিলিটি গ্রুপিং' তৈরি হবে - সেখান থেকে 'অ্যাবিলিটি ট্র্যাকিং' করা সম্ভব। এতে প্রতিটা স্কুলে কম্পিউটেশনাল অ্যাডাপ্টিভ লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি সহজ হয়ে পড়বে। যেখানে শিক্ষকগণ তাদের প্রতিটা শিক্ষার্থীর প্রোফাইল এবং শেখার ধারার একটা ভালো ধারণা পাবেন। তবে প্রতিটি স্কুলে যখন শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল এবং তাদের শেখার ধারাটাকে স্কুল লেভেলে 'ক্যাপচার' করা সম্ভব হবে তখন জাতীয় শিক্ষা বোর্ড এবং স্কুল এ ধরনের অ্যাবিলিটি ট্রাকিং করতে পারবেন। এখানে স্কুল এবং জাতীয় শিক্ষা বোর্ড একসাথে কাজ করলে প্রতিটা শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকবে।

সামনে আমার ধারণা, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার’ (বিএনডিএ) এর ভেতরে সব ধরনের ডাটা ডেভলপমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী যুক্ত হবে। শিক্ষার জন্য সবাইকে উঠতে হবে এই ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার’এ। প্রতিটা স্কুলের শিক্ষার্থীর তথ্য, বিশেষ করে প্রোফাইল এবং 'অ্যাবিলিটি গ্রুপিং'এর তথ্য সব শিক্ষা বোর্ডের সাথে যুক্ত থাকবে।