কনটেন্টে যান

ভোক্তাকে সরাসরি ভর্তুকি প্রদানের ধারণা, সনাক্তকরণ পদ্ধতি

মাঠ পর্যায়ে খসড়া তালিকা

তবে একদম মাঠ পর্যায়ে, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কৃষি অফিস থেকে কৃষিতে ভর্তুকি ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদান করার জন্য কাজ হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনে কৃষি সরঞ্জামাদি কৃষকের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখার এবং উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন সময় সরকারের দেওয়া ভর্তুকি উপকরণাদি কৃষকদের মধ্যে বিতরণের জন্য অনেকগুলো ধাপে কাজ গুলো করা হয়। তার একটা ধারণা আমরা ছবিতে দেখতে পারি।

ভর্তুকি বন্টনের জন্য প্রসেস-ফ্লো, কৃতজ্ঞতা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

মাঠ পর্যায়ে সেই তালিকা তৈরি ও ইউনিয়ন পর্যায়েয় সভায় অনুমোদন এবং উপজেলা কমিটিতে পাঠানো হলেও সেটাকে উপজেলা পর্যায়ে সভা ও উপজেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। সেই অনুমোদনের ভিত্তিতে জেলা কমিটিতে অনুমোদন ও উপজেলাভিত্তিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমার ধারনা মতে এই তালিকা তৈরিতে ব্লক ব্লক চেইন ভিত্তিক প্রযুক্তি এবং জাতীয় সনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগুলোকে একসাথে করলে এ ধরনের তালিকা সামনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। যেহেতু প্রতিটা মানুষের অবস্থানের পরিবর্তন হয় সময়ের সাথে সাথে সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ডাটার সাথে মোবাইলভিত্তিক ডাটা এবং পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রক্সি ডাটার মাধ্যমে এই তালিকাগুলো প্রতিনিয়ত সময়ের সাথে সাথে আপডেট হবে।

আমরা ভর্তুকি ব্যাপারে এখন বেশ কয়েকটি পত্রিকার খবর দেখতে পারি।

কৃষি যন্ত্রপাতি কেনায় ভর্তুকি বন্ধ, বিপাকে কৃষক

কৃষি যন্ত্রপাতি জনপ্রিয় করার জন্য তিনহাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটা প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, থ্রেসার, রিপার, কমবাইন্ড হার্ভেস্টার কেনা হবে প্রকল্পের আওতায়। বাংলাদেশেরর তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশজুড়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পের আওতায় হাওর ও লবণাক্ত জেলায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। অন্যান্য জেলায় দেওয়া হবে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি। কৃষক যেসব যন্ত্র পছন্দ করবেন সেগুলোই দেওয়া হবে। জোর করে কৃষি যন্ত্রপাতি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কৃষক গ্রুপের সদস্যরাই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

যাতে কেউ এই সুবিধা নিয়ে অন্যজনের কাছে কৃষিযন্ত্র বিক্রি করে না দিতে পারেন সেজন্য কৃষি কার্ড রয়েছে এমন কৃষকেরাই কেবল ভর্তুকি পাবেন।

-- মফিজুল সাদিক, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এই খবরটি ভারতের।

সারের ভর্তুকি সরাসরি কৃষককে দিতে সুপারিশ

কেন্দ্রীয় সরকার … প্রকল্পে নথিভুক্ত দেশের প্রায় ৯ কোটি কৃষককে বছরে তিন দফায় বছরে ৬০০০ টাকা করে দিচ্ছে। সিএসিপির সুপারিশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পেলে, সারের ভর্তুকি নিয়ে দেশের প্রতিটি কৃষক পরিবার বছরে ১১০০০ টাকা করে পাবেন, যা প্রস্তাবিত ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা সার্বজনীন ন্যূনতম আয়ের প্রায় সমান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'সারের ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, এতে কৃষকরা নিজেরাই ঠিক করতে পারবেন কী সার কিনবেন।'

-- ২৪ সেপ্টেম্বর, এইসময়, ইন্ডিয়া টাইমস

এই খবরটা আমাদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ নিয়ে।

কৃষকদের কার্ড দিচ্ছে সরকার

বাংলাদেশে কৃষিখাতে ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

কৃষি কার্ডের আওতায় প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা ডিজেলের জন্যে ভর্তুকি পাবেন আটশ’ টাকা, আর মাঝারী কৃষকরা পাবেন ১০০০ টাকা করে। মি. আলী বলছেন যে কৃষকদের মাঝে সহায়তা বিতরন করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের একটা বড় ভুমিকা থাকবে।

তিনি বলেন কৃষকরা দশ টাকা দিয়ে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলবেন এবং কৃষকদের মাঝে যে সহায়তা বিতরন করা হবে তার টাকা সরকার ঐ অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে যাতে স্বচ্ছতা নিয়ে কোন প্রশ্ন না ওঠে।

-- ওয়ালিউর রহমান মিরাজ, বিবিসি বাংলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০

বেশ পুরোনো খবর, তবে তাত্পর্যপূর্ণ।

প্রান্তিক কৃষকের হাতে ডিজিটাল কৃষি কার্ড

প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র কৃষকের কৃষিঋণের অর্থ ‘এ-কার্ডে’ (ডেবিট কার্ড) পৌঁছে যাচ্ছে। কৃষক মোবাইল ফোনের সাহায্যে সেই কার্ড দিয়েই সার, বীজ, কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ প্রয়োজনমাফিক কিনতে পারছেন। তাঁরা ঋণ পরিশোধে ছয় মাস সময় পান। এতে ফসল তোলার পরই বিক্রির জন্য তাড়াহুড়ো করতে হয় না। ফলে বাজারে ভালো দাম ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন কৃষকেরা। বেসরকারি সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ ও এমপাওয়ারের কারিগরি সহায়তায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ইউএসএআইডি কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর, ভোলা ও খুলনার চারটি উপজেলার দেড় হাজার কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে এ-কার্ডের মাধ্যমে এই সুবিধা পাচ্ছেন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষিঋণ ও কার্ডের সেবা দিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া। এক বছর ধরে প্রান্তিক চাষিরা সহজ শর্তে ও ১০ শতাংশ সুদে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ পাচ্ছেন। ঋণের টাকা কৃষকের এ-কার্ডে জমা থাকে। মূলত কৃষকের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে কার্ডটি ইস্যু করা হয়।

-- ৮ ডিসেম্বর ২০১৭, প্রথম আলোর গোলটেবিল আলোচনা, প্রথম আলো


  1. Subsidy spending climbs for crisis-related expenditure, ১৯ জুন ২০২০, দ্য ডেইলি ষ্টার